নিরাপদ সড়কের প্রতিবাদে যখন দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে, তার মধ্যেই গতকাল(০৪-০৮-২০১৮) শুক্রবার দেশের ৬টি স্থানে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনায় ৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন। খোদ রাজধানীতেই বাসের ধাক্কায় মারা গেছেন একজন মোটরসাইকেল আরোহী।কীভাবে হুশ ফিরবে এই ‘ঘাতক’ চালকদের- এমন প্রশ্নই করছেন সাধারণ মানুষ। যে কোন মূল্যে থামাতে হবে এই মৃত্যুর মিছিল। রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। ঘাতক চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে অন্যদেরও শিক্ষা দিতে হবে।বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বেশীর ভাগেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। মাদকাসক্ত ড্রাইভারদের চিহ্নিত করার কোন ব্যাবস্থা নেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে। জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস বিহীন যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে চলে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ।দূর্বল আইন আর দূর্নীতিমক্ত বিচার বিভাগের কারনে সহজেই পার পেয়ে যান ঘাতক গাড়ী চালকরা। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে প্রশাসনের ,রাজনৈতিক নেতা,পুলিশ কর্মকর্তা,মন্ত্রী, এমনকি বিচারকদের গাড়ীর চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ঘুষ আর চাঁদা দিয়ে যখন পার পাওয়া যায় তখন কেহই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে উৎসাহী নন। পুলিশ কে ঘুষ আর চাঁদা দিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে ফিটনেস বিহীন লক্কর ঝক্কর মার্কা যানবাহন। চলমান ছাত্র আন্দোলনে যেখানে মন্ত্রী ,বিচারপতিদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে সেখানে সাধারন যানবাহন মালিকদের কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়।ঘাতক বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু নিয়ে নৌমন্ত্রীর অসংবেদনশীল আচরণ ও দায়িত্বহীন মন্তব্য এবং সড়কে নৈরাজ্য অবসানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয়ই দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটেছে এ আন্দোলনের মাধ্যমে।এই আন্দোলনের পেছনে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনকে সরকারের জন্যে একটি শক্তিশালী সতর্কবার্তা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।এই আন্দোলন যেন ব্যর্থ না হয়। জনগন যেন এর সুফল পায়। প্রতিদিন সড়কে মৃত্যুর মিছিল যেন বন্ধ হয়।দায় এড়ানোর সংস্কৃতি যেন বন্ধ হয় ।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে দাবী একটাই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। আর সড়ক নিরাপদ হলেই থামবে সড়কে মৃত্যুর মিছিল