রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কের কুর্মিটোলা এলাকায় বেপরোয়া জাবালে নূর বাস এর চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ, নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক চালকদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উত্তরার জসীম উদ্দীন রোডে এনা ও বুশরা পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে সিটি কলেজ এবং ধানমন্ডি আইডিয়ালসহ বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে মিরপুর রোড, নীলক্ষেত এবং শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের অবরোধ ভেদ করে একটি বাস সায়েন্সল্যাব মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, সায়েন্সল্যাবে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। ধানমন্ডি থানা থেকে ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
দুপুর ১২টা থেকে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। প্রায় কয়েকশ শিক্ষার্থীর সড়ক অবরোধের কারণে শাপলা চত্বরে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ স্লোগানের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা একটি বাস ভাঙচুর করে।