সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানিকে চিকিৎসা করাতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই কিশোরীকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার রাতে হাসপাতালের তৃতীয়তলায় ওই চিকিৎসকের রুমে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।

অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম মাকামে মাহমুদ (২৫)। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। বাবার নাম মোখলেসুর রহমান।

এমবিবিএস ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকাম এ মাহমুদ মাহীকে সোমবার দেড়টার দিকে পুলিশে দেওয়া হয়।

মাহী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোখলেসুর রহমানের ছেলে। ওসমানীর নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক তিনি।

হাসপাতাল থেকে আটক করে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।

কিশোরীর বাবা বলেন, অসুস্থ নানির সঙ্গে রোববার রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন তার মেয়ে। তাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না।

“মধ্যরাতে ফাইল দেখার কথা বলে চিকিৎসক মাহী তাকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সকালে স্বজনরা হাসপাতালে আসার পর মেয়েটি ঘটনা তাদের জানায়।”

সোমবার সকাল ৮টার দিকে ওসমানীর পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশে দেয়।

পরিচালক মাহবুবুল হক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই কিশোরীর স্বজন ও চিকিৎসক মাহীকে নিয়ে বসি। উভয় পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মাহী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনায় সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়।

“কিশোরীকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এ ব্যাপারে ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই চিকিৎসককে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।