কাপ্তাই লেকে অনবরত পানির চাপ বাড়ছে। বর্তমানে লেকের পানি ধারণক্ষমতার প্রায় সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে। রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী লেকে ১০৯ ফুট পর্যন্ত পানি ধারণক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে লেকে ১০৮.১৫ ফুট পানি রয়েছে। সাধারণত লেকে পানির উচ্চতা ১০৭ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেই কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলের মুখ খুলে দেওয়া হয়। লেকে যাতে ১০৭ ফুটের বেশি পানি না হয় সেজন্যই কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে লেকের পানি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়, কিন্তু এবার বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লেকে পানির উচ্চতাও বাড়তে থাকে।

গত পাঁচ দিন ধরে স্পিলের ১৬টি গেটের প্রতিটি তিন ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্পিলের প্রতিটি গেট দিয়ে তিন ফুট করে ১২টি গেট দিয়ে ৪৮ ফুট পরিমাণ পানি কর্ণফুলী নদীতে ছাড়া হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে স্পিলের ১৬টি গেট দিয়ে পানি অনবরত কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। তবে পানি ছাড়া হলেও লেকের পানি তেমন কমছে না। কাপ্তাই লেক তীরবর্তী রাঙ্গামাটি জেলার ছয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বর্তমানে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে প্রায় প্রতিদিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ভারতের মিজোরামেও এবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির সব পানি খাল বিল ও নালা নর্দমা দিয়ে কাপ্তাই লেকে এসে পড়ছে। এছাড়াও কাপ্তাই লেক ঘেঁষে শতশত পাহাড়ি ঝরনা রয়েছে। এই ঝরনাগুলোর পানিও কাপ্তাই লেকে পড়ছে, যে কারণে লেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলেও ঐ সূত্র জানিয়েছে। তবে পানি আরও বাড়লে লেকের পানি ছাড়ার পরিমাণও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর কাপ্তাই লেকে এভাবে আর পানি বৃদ্ধি পায়নি। ২০১৭ সালের জুন মাসে সর্বশেষ কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়া হয়েছিল বলে কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায়িত্বশীল সূত্রটি জানিয়েছে। সুত্র-ইত্তেফাক