বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে ‘১২ দলীয় জোট’ গঠনের পর এবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট নামে আরেকটি জোটের আত্মপ্রকাশ হলো। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ শরিকের নতুন জোট গড়ার ঘোষণা দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। নবগঠিত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের দলগুলো হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাগপা (খন্দকার লুতফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্পধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট, পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই নতুন এ জোটের কারণ ও লক্ষ্য তুলে ধরেন জোটের সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা ১১টি দল এক হয়ে আজকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গঠন করেছি। গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জ্ঞাপন করে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।’

তবে নতুন আত্মপ্রকাশ করা জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দলের নাম রয়েছে ১২ দলীয় জোটের তালিকাতেও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সঙ্গে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটে আছে। তারা অন্য জোটে এখন নেই।’

এর আগে ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে ১২ শরিক নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। বিএনপির সঙ্গে আগের মতোই সম্পর্ক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘১২ দলীয় জোট’ নামে ওই মোর্চা গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘এ দেশের সর্ববৃহৎ বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে আমাদের যে ঐক্য, যে সমঝোতা, যে হূদয়ের বন্ধন, তা অটুট থাকবে; আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনি আছে। আমরা আরো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য প্রকৃত প্রস্তাবে দেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দল, যারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধী, তাদেরকে এক করার জন্য একটু ভিন্ন পথ এবং কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার (নুরুল আমিন) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাগপা (খন্দকার লুতফর) সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, ডিএলের সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ-ভাসানী সভাপতি আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেক, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি মণ্ডল প্রমুখ।