এক ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমানসহ (এএসপি) র‍্যাব-১-এর তিন সদস্য ও আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মুশফিকুর রহমান ছাড়া র‍্যাব-১-এ কর্মরত অপর দুই আসামি হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাতুল রাজ, উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন। এ ছাড়া বাকি দুই আসামী মো. রাজীব ও রিপন।
এই মামলায় বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী আবদুস সালামের পূর্বপরিচিত মামলার প্রধান আসামি রাজীব। একসময় দুজনে ব্যবসা করতেন। দুজনের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন হয়। রাজীব তাঁর কাছে যে টাকা পেতেন, তা পরিশোধও করেন। তবে রাজীবের কাছে তিন থেকে চারটি ব্যাংকের চেক ছিল। টাকা পরিশোধের পরও আরও ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখান। পরে ২৫ ডিসেম্বর রাজীব, র‍্যাব সদস্য রাতুল রাজ ও সুজন ওই ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে জোরপূর্বক অপহরণের চেষ্টা করেন।

পরে লোকজন এগিয়ে এলে র‍্যাবের ওই সদস্যরা চলে যান। এরপর ২৬ ডিসেম্বর র‍্যাব-১–এ মুশফিকুর রহমানের কার্যালয়ে যান আবদুস সালাম। সেখানে তাঁকে নির্যাতন করা হয় বলে মামলায় দাবি করেন সালাম।

তবে নির্যাতন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন র‍্যাব-১–এর এএসপি মুশফিকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অনেকেই নানা অভিযোগ নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। তবে আবদুস সালাম নামের কোনো ব্যক্তিকে অপহরণ করার চেষ্টা কিংবা র‍্যাব কার্যালয়ে নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।

র‍্যাব-১–এ কর্মরত এএসআই রাতুল রাজ বলেন, রাজিব ও আবদুস সালামের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। পরে বিরোধ হয়। তিনি র‍্যাবের কাছে অভিযোগ দেন। মীমাংসার জন্য আবদুস সালাম র‍্যাব-১–এর কার্যালয়ে এলেও তাঁকে নির্যাতন করা হয়নি।