কয়েক মাস আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পরে অবশেষে কোভিড-১৯ এর জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে এন্টিজেন ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টিংয়ের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

সোমবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আদেশে ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

আদেশে বলা হয়, ‘সারাদেশে এন্টিজেন টেস্টের চাহিদার প্রেক্ষিতে অতি স্বল্প সময়ে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবনা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণপূর্বক দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি পিসিআর ল্যাব এবং সকল স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এন্টিজেন ভিত্তিক টেস্ট চালুর অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।’

আদেশে আরো বলা হয়, ‘তবে শর্ত থাকে যে, যাচাই-বাছাইয়ের নিমিত্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রক্রিয়াধীন কোভিড-১৯ ল্যাব সম্প্রসারণ নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।’

এর আগে গত ৫ জুলাই এন্টিজেন ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এছাড়াও করোনাভাইরাস সম্পর্কিত জাতীয় পরামর্শক কমিটিও এই এন্টিজেন ভিত্তিক র‌্যাপিড টেস্টের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে কয়েকবার সুপারিশ জানিয়েছিল।

এদিকে, দেশে নতুন করে ১ হাজার ৭০৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যার ফলে মহামারি করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬২১ জনে।

এছাড়া করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ৯৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৬৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৫৩টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৩টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.০৬ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯.১১ শতাংশ।

নতুন যে ৪০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ এবং নারী ১৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৮৭৩ জন বা ৭৭.৭৯ শতাংশ এবং নারী এক হাজার ১০৬ জন বা ২২.২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।

এদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো দুই হাজার ১৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৭১৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৩.৭৯ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

সূত্র : ইউএনবি