ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। একই সঙ্গে বহিরাগতরা কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রক্টরের অনুমতির প্রয়োজন হবে। প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী।

এ প্রসঙ্গে সোমবার প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বহিরাগতদের।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করতে চাইলে আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, শুধু বহিরাগতদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস সব সময় উন্মুক্ত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘গত বুধবার সন্ধ্যার পর উপাচার্যের বাসভবনে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় এখন তা নোটিশ আকারে সবাইকে জানানো হয়েছে।’
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোয কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য ৫ জুলাই প্রভোস্ট কমিটির ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রভোস্ট কমিটির ওই সভায় সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত কতিপয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ধারা ও শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করে এ ধরনের কাজ যেন কেউ না করতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বেলা সোয়া একটার দিকে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেকোনো সাংস্কৃতিক বা ইতিবাচক কোনো অনুষ্ঠানকে বাধা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়নি।