চাটখিল পৌরসভার ভীমপুর গ্রামে এক তরুণী (১৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের সাথে জড়িত ভীমপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে নাঈম হোসেন (২২) ও রফিক উল্যা মোল্লার ছেলে ইউসুফ যুদানীকে (২৩) পুলিশ শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে চাটখিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়ের বাবা বাবুল হোসেন মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নির্যাতিতার বাবা বাবুল হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে ছয় বছর যাবৎ ভীমপুর গ্রামের মুজিব সওদাগরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসার লোকজনের অনুপস্থিতিতে বাবুল হোসেনের মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে নাঈম হোসেন ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষক নাঈমকে হাতে নাতে আটক করে। তাৎক্ষণিক নাঈমের সহযোগী ইউসুফ যুদানীর নেতৃত্বে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। তাদেরকে মারধর করে ধর্ষক নাঈমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শনিবার বিকেলে পুলিশ চাটখিল পৌর শহর থেকে ধর্ষকের সহযোগী ইউসুফ যুদানীকে গ্রেফতার করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষক নাঈমকে তার নানার বাড়ি বানসা থেকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নাঈম ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে এবং ধর্ষিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।