ভিয়েতনামে কাজের সন্ধানে গিয়ে আটকে পড়া ১০৭ জন অভিবাসী শ্রমিকসহ ১১২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ ছাড়া, ভিয়েতনামের এক নাগরিকও এ ফ্লাইটে বাংলাদেশে এসেছেন বলে ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

কুমিল্লার অভিবাসী শ্রমিক মো. রায়হান উদ্দিন জানান, বিকেল চারটার দিকে তারা বিমানবন্দরে নামেন। এ বছর জানুয়ারিতে তিনি ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন। আজ বিমানবন্দরে নামার পর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে ভিয়েতনামে নিপীড়নের শিকার হওয়া ১০৭ জন বাংলাদেশিদের অনেকে হো চি মিন শহর থেকে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় যান। সে সময় তারা ভিয়েতনামে তাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশি দালালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দেশে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়েছিলেন।

তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত থাকায়, সে সময় তাদের দেশে ফেরার কোনও উপায় ছিল না বলে কর্মকর্তারা জানান।

পরে, ভিয়েতনাম পুলিশের সহযোগিতায় হ‍্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রায় ১০০ জনকে কয়েকটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছিল। ৪ আগস্ট দূতাবাসের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরির জন্য ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর কার্ড আছে তারা দেশে ফিরতে চাইলে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এরপর, কয়েকজন দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন করেন। দূতাবাস তাদের পাঠানোর জন্য ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেয়।