বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় পণ্য নিয়ে প্রথম জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হলো।

ভারতের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (পুরাতন কোলকাতা পোর্ট) থেকে ৪ কন্টেইনার ট্রানজিট পণ্য নিয়ে কোস্টাল জাহাজ ‘এম ভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোররাতে চট্টগ্রাম এটি বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে। বন্দরের নিজস্ব পাইলট টাগ বোটের সহায়তায় জাহাজটি বন্দরের মূল জেটিতে (বার্থ) আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এরপর টিএমটি স্টিল ও ডাল ভর্তি ভারতীয় ট্রানজিটের সেই চারটি কন্টেইনার কাস্টমস ক্লিয়ারিং শেষে ট্রেইলার গাড়ি করে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরায় যাবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভারত থেকে ৪টি ট্রানজিট পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে এমভি সেজুতি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌছেছে। চুক্তি অনুযায়ী ট্রানজিট পণ্যবাহী ৪টি কন্টেইনার এর প্রথম ট্রয়াাল রান উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান বার্থিং নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজটিকে বার্থিং করা হবে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নির্ধারিত ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী পোর্ট ডিউজ, পাইলটেভ ফি ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক চার্জ আদায় করা হবে’।

ট্রানজিটের ৪টি কন্টেইনার বন্দর থেকে খালস করার জন্য কাজ করবে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান কে জে শিপিং।

এবিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানান , আজ ভারতীয় ট্রানজিটের ৪ কন্টেইনার পণ্যবাহি জাহাজ এমভি সেঁজুতি চট্টগ্রাম বন্দরে বর্থিং করেছে। নিযুক্ত সিএন্ডএফ নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমসে ডকোমেন্ট সাবমিট করে কন্টেইনারগুলো ট্রেইলারে করে বন্দর থেকে খালাস করবে’। ট্রানজিটের প্রতিটি কন্টেইনারের বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃক ৭ ধরণের সরকারী রাজস্ব আদায় করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি প্রতি চালানে ৩০টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি মেট্রিক টনের জন্য ২০ টাকা, সিকিউরিটি চার্জ প্রতি মেট্রিক টনের জন্য ১০০টাকা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসকর্ট চার্জ প্রতি মেট্রিক টনের জন্য ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ প্রতি মেট্রিক টনের জন্য ১০০টাকা, কন্টেইনার স্ক্যানিং চার্জ প্রতি কন্টেইনারের জন্য ২৫৪ টাকা এবং বিধিমালায় নির্ধারিত পরিমান ইলেক্ট্রিক লক ও সিল ফি প্রযোজ্য হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহারের জনও সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্ধারিত মাশুল আদায় করবে।

উল্লেখ্য, ৯৫ মিটার লম্বা এমভি সেঁজুতি নামের কন্টেইনারবাহী জাহাটির স্থানীয় এজেন্ট ম্যাংগো শিপিং লাইন। তাদের পরিচালনায় জাহাজটি গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ভারতের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট থেকে ৪টি ট্রানজিট পণ্যবাহী কন্টেইনারসহ ১১১ টিইইউস কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জানা যায়, ৪ কন্টেইনারের মধ্যে ২ কন্টেইনারে রয়েছে টাটা স্টিলের টিএমটি স্টিল যা ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের ত্রিপুরায় যাবে। এছাড়া বাকি ২ কন্টেইনারে রয়েছে ইটিসি এগ্রোর ডাল যা ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের আসাম রাজ্যে যাবে। উৎস – পূর্বকোন