মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে আগেই। এবার আরো নতুন গবেষণার জন্য প্রস্তুত বিজ্ঞানীরা। সে জন্য এবার ১৫ জন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর একটি দল স্বেচ্ছায় কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শতাধিক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের প্রধানের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে সই করেছেন। এই দলে ১৫ জন নোবেলজয়ী রয়েছেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, তথাকথিত এই চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে। লাখ লাখ জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।

বিশ্বজুড়ে ২৩টি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন। এই টিকাগুলোর দিকে তাকিয়ে মানবসমাজ। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড ও রাশিয়া জানিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে টিকা বের হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে শতভাগ কার্যকর।

এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধী কিছু ওষুধ নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেমডেসিভির, রাশিয়ার অ্যাভিফ্যাভিরের সফলতা বেশি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইংল্যান্ড জানিয়েছে, কম খরচের পরিচিত ওষুধ ডেক্সামেথাসন করোনা রোগীর জন্য ভালো কার্যকর।

টিকা এবং ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ট্রায়াল দেওয়ার কাজ চলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচির পরিচালকের দাবি, স্বেচ্ছায় টিকা গ্রহণ করে দেহে করোনার জীবাণু প্রবেশ করানোর পদ্ধতি সাফল্য দেখাবে।

সূত্র : সিএনএন।