ঢাকা থেকে রোমে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে ইতালি সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালি জুড়ে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চ মাসে কয়েক দফায় ইতালি থেকে ফেরেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এই প্রবাসীরা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া কোয়ারেন্টাইন সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়ান এবং পরে রোম থেকে ফেরা একজন প্রবাসীর শরীরেই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে।

পরে এই প্রবাসীদের মাধ্যমেই বাংলাদেশেও কভিড-১৯ মহমারিতে পরিণত হয়। সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে সেই প্রবাসীরাই আবার ইতালি ফিরে যান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের যাত্রীদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের’ করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে বলে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থেকে যাওয়া সবার জন্য নতুন করে পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ইতালির রাজধানী রোমের প্রবাসী বাঙালী অধুষ্যিত লাৎসিও অঞ্চলে অভিবাসী বাংলাদেশিদের ঢালাও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইতালি সরকার।

কভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৬ জুন বাংলাদেশ থেকে আর্ন্তজাতিক ফ্লাইট চালু হয়। পরদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রোমে ফিরে যান ২৫৯ জন প্রবাসী। এরপর গত দুই সপ্তাহে হাজারখানেকের মতো প্রবাসী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ইতালি ফিরে গেছেন।

জানা যায়, সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা থেকে রোমে পৌঁছায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট। এতে অন্তত ২৮২ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ জনের দেহে কোভিড নাইন্টিন শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের হাসপাতালে এবং বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অর্ধশতাধিক প্রবাসীর দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।

এর মধ্যেই, করোনা সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে ৩ হাজার ইউরো জরিমানার বিধান করা হয়েছে। ইতালির রেসিডেন্স পারমিট বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।