নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল আর দূর্নিতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৌরাত্মে জিম্মি হয়ে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা । অতিরিক্ত টাকা আর দালালের মাধ্যম ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না।
দালাল ছাড়া সাধারন পাসপোর্টের জন্য ৩৪৫০ টাকায় ২১ দিন এবং জরুরী ৬৯০০ টাকায় ৭ দিনে পাওয়ার কথা থাকলেও ৩/৪ মাসেও পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না । ফলে চাকুরী নিয়ে বিদেশ যাত্রা, পবিত্র হজ্ব পালন ও ওমরা পালন, জরুরী চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অনেকের। ।
অন্যদিকে সাধারন পাসপোর্টের জন্য দালালকে ব্যাংক ড্রাফট এর অতিরিক্ত ৩০০০ এবং জরুরীর জন্য ৬০০০ টাকা দিলে পড়ে নির্দিষ্ট সীল। এ সীল সম্বলিত আবেদন জমা দিলেই কেবল নির্দিষ্ট সময়ে হাতে মেলে পাসপোর্ট।
দালাল ছাড়া নিজে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন জমা দিতে গেলে বারবার ফেরৎ পাঠানো হয়। বার বার আবেদন পত্রে ভুল ধরবে, সঠিক ভাবে সত্যায়িত করা হয়নি,নির্দিষ্ট জায়গায় সিল মারা হয়নি এই সব অজুহাতে প্রতিদিন পাসপোর্ট করতে আসা সাধারন মানুষকে হয়রানি করছে পাসপোর্ট অফিসের দূর্নিতিবাজ কর্মচারী -কর্মকর্তারা। পাসপোর্ট বইয়ের সংকট, ছাপার মেশিন নষ্ট এই সব অজুহাত তো আছেই।তাই সেবা প্রত্যাশীরা ব বাধ্য হয়ে দালাদের শরণাপন্ন হন।এ সুযোগে পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের সব দোকানে দালালরা খুলে বসেছে সেবা সেন্টার। প্রয়োজনীয় কগজপত্র সত্যায়ন, পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব সেবা মেলে দালালদের কাছে। সাধারন পাসপোর্টের জন্য দালাল অথবা দূর্নিতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যাংক ড্রাফট এর অতিরিক্ত ৩০০০ এবং জরুরীর জন্য ৬০০০ টাকা দিলে পড়ে নির্দিষ্ট সীল। এ সীল সম্বলিত আবেদন জমা দিলেই কেবল নিদিষ্ট সময় হাতে মেলে পাসপোট।
তবে দালাল ও নির্দিষ্ট সীল এর কথা অস্বীকার করে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর সহকারী পরিচালক আল আমিন মৃধা জানান, প্রিন্টিং ক্যাপাসিটি কম থাকায় নির্দিষ্ট সময় ডেলিভারী দেয়া যাচ্ছেনা পাসপোর্ট।
উল্লেখ্য,প্রতিদিন নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা পড়ে প্রায় দুই শতাধিক। এর মধ্যে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া কত দূরহ তাহা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।