দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৮ হাজার ৪২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে।

এই নিয়ে দেশে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৪৭ জন।

আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে নতুন ১ হাজার ৮৪৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।

দেশে করোনায় মৃত্যুর আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ১৬ জুন, ৫৩ জন। আর শনাক্তের রেকর্ডটি হয়েছি ২৯ জুন, ৪ হাজার ১৪ জন।

চব্বিশ ঘণ্টার হিসেবে দেশে করোনভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৯১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন; সাতজন করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, দুজন করে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের।

হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন ৫১ জন, বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত্যুবরণ করা সর্বোচ্চ ২১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। ১৬ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৫৪৪ জন; বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ১৪৫ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।