বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলকে( লক্ষ্মীপুর-২ আসনে) মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার (৮ জুন) তাকে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছেন কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

সোমবার গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের আবেদনে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাদের আদেশ দেয়। ওই রেসিডেন্স ইনভেস্টিগেশন বিভাগ শনিবার রাতে মুশরেফ এলাকা থেকে আটক করে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে। তিনি সেদেশে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম জানিয়েছেন, এমপি পাপুলকে আটক করার কারণ এবং তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে কুয়েত সরকারকে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস চিঠি লিখেছে। সোমবার রাতে তিনি জানান, আমরা কুয়েত সরকারের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে গতকাল রবিবারই চিঠি লিখেছি। এখনো কোনো জবাব আসেনি।

গালফ নিউজ লিখেছে, প্রসিকিউশন পাঁচ বাংলাদেশির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে। ওইসব কর্মীরা প্রসিকিউশনকে জানিয়েছিল, তারা পাপুলের মাধ্যমে ৩ হাজার কুয়েতি দিনার খরচ করে সেদেশে গিয়েছিলেন। একইসাথে তাদের ভিসা নবায়নের জন্য ফি বছর টাকা দিতে হয়।