ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশের ১৩টি জেলার মোট ৮৪ টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গেছে যার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার। যেকোন দুর্যোগের প্রস্তুতিতে শুধু উপকূলীয় এলাকার জন্যই ৫ হাজার৫শ ৫৭ কিলোমিটার বাঁধের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সুপার সাইক্লোন আম্ফানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অন্তত ৮-১০ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার বেড়িবাঁধ কোথাও ভেঙ্গে বা কোথাও উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক জরুরী আলাপকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করার আশাবাদ ব্যাক্ত করে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। দুর্যোগ প্রাকৃতিক তাই ঠেকানো যায় না তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় জান-মালের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য সর্বোচ্চচেষ্টা অব্যাহত আছে। আক্রান্ত সকল জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ কর্মস্থলে আছেন। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহায়তায় বালুভর্তি জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)জনাব মাহমুদুল ইসলাম, বাপাউবো মহাপরিচালক জনাব এ এম আমিনুল হক, যুগ্মপ্রধান (পরিকল্পনা) জনাব মন্টু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের নদী ভাঙ্গনের কষ্ট লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মোট ৩ হাজার ১ শ কোটি টাকার ৩টি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে।উৎস -ইত্তেফাক