নিজ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ভিক্ষুক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক আওয়ামীলীগ নেতা। হতদরিদ্রের জন্য খাদ্য সহায়তায় দেওয়া ওএমএস কার্ডের তালিকায় স্ত্রী-সন্তানসহ ১৩ স্বজনের নাম থাকায় ডিলারশিপ হারালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. শাহ আলম।

আজ বুধবার বিকেলে জেলা ওএমএস কমিটির সভায় শাহ আলমের ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান জেলা ওএমএস কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক সুবীর নাথ চৌধুরী।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, ওএমএস কার্ডের তালিকায় পরিবার ও স্বজনদের নাম ওঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় শাহ আলমের ওএমএস ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। তবে আইনে সুযোগ না থাকায় এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করার পরিকল্পনা নেই।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে আয়োজিত বেঠকে ৮৪ ধনী ব্যক্তি ও দ্বৈত নাম, এক পরিবারের একাধিক নাম এবং ঠিকানা খুঁজে না পাওয়া এমন আরও সাতজনসহ মোট ৯১ জনের নাম ওএমএস বরাদ্দের কার্ডের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে ভিক্ষুক, ভবঘুরে, কর্মহীন ও হতদরিদ্র সম্প্রদায়ের লোকজনের বদলে নিজের স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নাম বিশেষ ওএমএস তালিকায় যুক্ত করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তদন্তে নেমে প্রশাসন তার স্ত্রী-সন্তানসহ ১৩ জনের নাম পায় তালিকায়।