জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ এপ্রিল ৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1255 বার
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত মসজিদে জামাত ও জুমায় উপস্থিতি সীমিত রাখার আদেশ শরীয় দৃষ্টিতে সঠিক ও যথার্থ। তাই সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা মূল্যায়ন করা ও তা উত্তমরূপে গ্রহণ করা মানবতার কল্যাণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য বলে জানিয়েছেন দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাম শফী বলেন, আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারীমে ইরাশাদ করেন, وَلاتَقْتُلُواأَنفُسَكُمْإِنَّاللَّهَكَانَبِكُمْرَحِيمًا অর্থাৎ “তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চিত জেনো, আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।” সূরা নিসা-২৯
আরও ইরশাদ হয়েছে, ولاتُلْقُوابأيْدِيكُمإلىالتهْلُكة“ তোমরা নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।” সূরা বাকারা-১৯৫
আরও ইরশাদ করেন, يَاأَيُّهَاالَّذِينَآَمَنُواخُذُواحِذْرَكُمْ হে মুমিনগণ, তোমরা (শত্রুর সাথে লড়াইকালে) আত্মরক্ষার উপকরণ নিজেদের সঙ্গে রাখো।” সূরা নিসা-৭১
আহমদ শফী বলেন, ‘ইসলাম নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ হওয়াকে সমর্থন করে না; বরং নিষেধ করে। সর্তকতা ও সচেতনতা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যে কোনো আসু ক্ষতি থেকে সতর্ক থাকা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বর্তমানে বেশ ঝুকিপূর্ণ। বর্তমান চিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারির আকার ধারণ করছে। খুব দ্রুতগতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্তদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। এ মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দোয়া এবং শরীয়তের আলোকে সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সতর্কতার জন্য সরকার উলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে, যে কোনো ধরনের বড় জমায়েতকে নিষেধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে। জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ জারি করেছে। শরীয় দৃষ্টিতে এসকল সতর্কতামূলক নির্দেশনা সঠিক ও যথার্থ। সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা মূল্যায়ন করা এবং তা উত্তমরূপে গ্রহণ ও পালন করা মানবতার কল্যাণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।
আহমদ শফী বলেন, তবে সতর্কতা ও ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের একমাত্র কাজ নয়। বরং আমাদের আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ভবিষ্যতে সকল অপরাধ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা করে তওবা করতে হবে। ঘরে বসে দোয়া, ইস্তেগফার ও নফল ইবাদাতে মাশগুল থাকতে হবে। যেন আল্লাহ তাআলা অনতিবিলম্বে আমাদের থেকে এ মহামারি তুলে নেন। নিরাপদে জীবন যাপন করার তওফীক দান করেন। আমাদের ও সারা বিশ্বকে এ মহামারি থেকে প্ররিত্রাণ দেন।
Leave a Reply