চট্টগ্রামে আলোচিত অনিক হত্যা মামলার দুই আসামিকে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন, মামলার প্রধান আসামি মহিউদ্দিন তুষার ও ১০ নম্বর আসামি এখলাসুর রহমান। গত শুক্রবার কলকাতার ফ্রি স্ট্রিট স্কুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। আজ সোমবার যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সিএমপি’র একটি দল তুষার ও এখলাসকে নিয়ে যশোর থেকে চট্টগ্রামের পথে ছিল। মঙ্গলবার সিএমপি’র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হবে বলে মহানগর ডিবি কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন তুষার মামলার প্রধান ও এখলাসুর রহমান ১০ নম্বর আসামি। তাদেরকে রাতেই চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, দুই আসামি মামলার পরপর ভারতে চলে গিয়েছিল। কলকাতা পুলিশ তাদের ভিসা বাতিল করে আটক করেছে। বর্তমানে তুষারসহ দুইজনকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। রাতের মধ্যে পুলিশ তাদের নিয়ে চট্টগ্রামে পৌছাবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন ঈদুল ফিতরের পরদিন রাতে মোটরসাইকেলে জোরে হর্ন বাজানোর ঘটনার জের ধরে নগরীর চট্টেশ্বরী মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে খুন করা হয় এমআর অনিক নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে। নিহত অনিক পেশায় গাড়িচালক। তারা বাবা মো. নাসির বাগমনিরাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। ঘটনার পরদিন অনিকের বাবা ১২ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও দলে তাদের কোনো পদ নেই বলে ইত্তেফাককে জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন।

তিনি জানান, অনিক হত্যায় জড়িতরা কেউই দলের সঙ্গে জড়িত নয়। তুষারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলারও সাহস পায় না। তাদের গ্রেফতারের সংবাদে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এলাকাবাসী অনিক হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন।