করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সরকার আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কারণেই কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায়ও বাংলাদেশে কারো দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এনিয়ে পরপর দুই দিন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর কোনো রোগী পাওয়া গেলো না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, “আমরা নিজেদের উদ্যোগে দুই মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের উদ্যোগটি কাজে লেগেছে। পৃথিবীর সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশ এখনো অনেক ভালো আছে।”

যদিও অনেকের অভিযোগ, যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক হাসপাতালে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে মানুষ পরীক্ষা করতে যাচ্ছে না, যা ইঙ্গিত করে যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কম।
“চট্টগ্রামে যেই কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানে গত চার পাচদিনে ৫-৭ জনও পরীক্ষা করতে আসেনি। কক্সবাজারের পরীক্ষা কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত কেউ পরীক্ষা করতে আসেনি।”

“অনেকে বলছে আমাদের দেশে সংখ্যা এত কম কেন? ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা কম হলেই তো আমাদের খুশি হওয়া উচিত।”

কারো দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, সেই পরীক্ষা শুধুমাত্র আইইডিসিআরের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কারণে বেশিসংখ্যক পরীক্ষা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরকম ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণের সঠিক চিত্র প্রকাশিত না হওয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

তবে বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার কম হওয়ার বিষয়টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।

এদিকে, আগামী শনিবার বাংলাদেশের সাধারণ ছুটি শেষ হয়ে মানুষজনের কাজে ফেরার কথা। কিন্তু জাহিদ মালেক বলছেন, সেটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নতুন নির্দেশনা আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন মি. মালেক্