রাজধানীর গোড়ানে স্বামীর পরকীয়ার জেরে সৃষ্ট পারিবারিক কলহে দুই অবুঝ শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে আশরাফুন্নেসা পপি নামে এক পাষণ্ড মা। ওই দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ঘাতক মা। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুই শিশুটির বাবা মোস্তাফিজ বিপ্লব পলাতক।

শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ানের টেম্পো-স্ট্যান্ড সংলগ্ন ৩৯৭ নম্বর মোল্লা ভবনের ৪ তলার ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটেছে।

ওই ফ্ল্যাটে মা-বাবার সাথে থাকতো জান্নাতুল ফেরদৌস ও মেহজাবিন আলিফ। তবে মা-বাবার আদর স্নেহের চেয়ে দু’জনের ঝগড়া আর মনোমালিন্যই বেশি দেখতে হয়েছে ১২ বছর বয়সী মেহজাবিন ও তার ৭ বছর বয়সী বোন জান্নাতুলকে।

মেহজাবিন ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। জান্নাতুলও একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে হতাশ হয়ে দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান আশরাফুন্নেসা পপি।

নিহত দুই শিশুর স্বজন ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা মোস্তাফিজ বিপ্লব পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় এবং যৌতুকের টাকা চাওয়ায় সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো।

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাতেও বিপ্লব ১০ লাখ টাকা না দেয়া হলে আবারও বিয়ে ও সন্তানদের কেড়ে নেয়ার হুমকি দেন স্ত্রীকে।

শনিবার (৭ মার্চ) এর জের ধরে দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দেন মা আশরাফুন্নেসা পপি।