খেলাধুলা | তারিখঃ মার্চ ৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 965 বার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ গেমসের নামকরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। দেশের বৃহত্তর এই ক্রীড়াযজ্ঞ শুরু হচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। গেমসের ৩১ ডিসিপ্লিনের খেলা রাজধানীর ২০টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ১০ হাজার ৬০০ ক্রীড়াবিদ ৩৯৬টি করে স্বর্ণ ও রৌপ্য এবং ৫৪৬ ব্রোঞ্জসহ মোট ১৩৩৮ পদকের জন্য লড়বেন। এই ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্রায় ১২শ’ জন ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে রেকর্ডজয়ী পদকধারীদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের লোগো ও মাসকট উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্যগুলো জানান, বিওএ’র সহ-সভাপতি এবং মিডিয়া ও পাবলিসিটি কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিওএ’র মহাসচিব ও গেমসের অর্গানাইজিং কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিওএ’র উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কোহিনুর, উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু এবং কোষাধ্যক্ষ ও গেমসের মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি কমিটির সদস্য সচিব কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
নবম বাংলাদেশ গেমস লোগোতে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাস্যজ্জ্বল ছবি রয়েছে। যা দিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বঙ্গবন্ধুকে বুঝানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের নারী ও পুরুষের সমতা বুঝাতে লোগোতে পুরুষ ও নারীর অংশগ্রহণ দেখানো হয়েছে। মাসকাটে শান্তির প্রতিক হিসেবে পায়রাকে মশাল হাতে দেখা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন,‘এই গেমস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিরজনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা গেমসের নামকরণ করেছি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। আশাকরছি বাংলাদেশ গেমস থেকে আমরা মেধাবী ক্রীড়াবিদ পাব। যারা আন্তর্জাতিক গেমসগুলোতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক করোনাভাইরাস। ক্রীড়াঙ্গনেও এর প্রভাব পড়েছে। যদিও এই ভাইরাস এখনো বাংলাদেশে আসেনি। তবে বাংলাদেশ গেমসের আগে করোনাভাইরাস নিয়ে বেশ সতর্ক বিওএ। এ প্রসঙ্গে শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন,‘ আমরা এখনো করোনামুক্ত। কোনো কারণে যদি গেমস চলাকালীন সময় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের মেডিকেল কমিটি এবং বিওএ’র নির্বাহী কমিটি জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।’
অ্যাথলেটিক্সকে বলা হয় মাদার অব স্পোর্টস। কিন্তু বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্সের মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের টার্ফ এখন ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগি। যে কারণে ফেডারেশন তাদের সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করেছে চট্টগ্রামে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাক নিয়ে বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাম্প ইভেন্টগুলো বঙ্গবন্ধুতে এবং রানিং ইভেন্টগুলো বিকেএসপিতে করার পরামর্শ দিয়েছি তাদের। তারা এই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের মতামত জানাবে।’
অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক প্রসঙ্গে শাহেদ রেজার কথা, ‘ ট্র্যাকটি কয়েকবছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ গেমসের পড়ে এটা ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছে।’
Leave a Reply