ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের জনৈক আয়ার সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ফোনালাপের অডিওটি ফাঁসের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই বিভিন্ন মহলে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

ওই ফোনালাপে কলেজের সুরক্ষিত কক্ষের ভেতরে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক আয়ার সঙ্গে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই ফাঁস হওয়া অডিওটি নিয়ে উপজেলাব্যাপী তোলপাড় চলছে। এর মধ্যেই স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিবর্গের ব্যানারে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণ চেয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এসব পোস্টার ও লিফলেটে পরীক্ষার হলে নকলের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কলেজের কিছু কিছু ছাত্রী এবং কোনো কোনো শিক্ষার্থীর মায়ের সঙ্গেও অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীরের অনৈতিক সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে।

তবে সচেতন ব্যক্তিবর্গের ব্যানারে এসব পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হলেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। অভিযোগকারী একাধিক সূত্র জানায়, ক্ষমতা বলয়ের লোক হওয়ায় কেউ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না।

সূত্র আরও জানায়, জাহাঙ্গীর আলম একজন অদক্ষ, অযোগ্য নারী লোভীও বটে। তাই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আমাকে সামজিকভাবে হেয় করার জন্য এসব অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।’ নারীর সঙ্গে আপত্তিকর কথার অডিও রেকর্ডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব রেকর্ডিং ডাবিং করে আমাকে হেয় করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, চরফ্যাশনের দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য শশীভূষণ থানা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ। এ বছর এমপিওভুক্ত কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও প্রায় ১ হাজার ৭০০।