বহুল আলোচি চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ট্রাফিক পুলিশের তৎকালীন সার্জেন্ট এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার ট্রাফিক পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফেনীর রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আমীর আলী ভূইয়া মাস্টারের ছেলে। ফেনী জেলা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার ঘটনার পর তৎকালীন সরকার তাকে হয়রানীমূলক বদলীসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিল। ওই সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হতো বলে তারা দাবি করেন। তার পরিবার ও স্বজনদের দাবি, এটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা সরকারের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার ঘাটে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে দশ ট্রাক অস্ত্র খালাসের সময় ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হন তৎকালীন সার্জেন্ট ও কয়লার ডিপো ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন ভূঁইয়া। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদুর রহমান বাদী হয়ে চোলাচালান ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় আদালত সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী এবং বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অস্ত্র আইনের মামলায় তাদের সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।