আড়ংয়ে নারীদের চেঞ্জরুমে গোপনে ভিডিও করত সে। তার কাছে এমন ১২০টি ভিডিও আছে। যাদের ভিডিও করা হয়েছে, তাদের কাছে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ভিডিও পাঠাতো। অর্থ দাবি করা ছাড়াও খারাপ চাহিদার কথা বলতো সে।

অবশেষে আটক হয়েছে সেই অপরাধী যুবক। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম সিরাজুল ইসলাম সজীব। কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে।

সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম জানান, আড়ংয়ের দেওয়া তথ্য মতেই সজীবকে শনাক্ত করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতার হওয়া সজীব আড়ংয়ের বনানী শাখার সাবেক কর্মী। রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়ার থাকতো সে। তার কাছ থেকে ফোনসেট জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আড়ংয়ের ওই নারীকর্মীর ভিডিও করা এবং হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছে, সে আড়ংয়ে চাকরি করতো। চাকরিরত অবস্থায় সে চতুর্থ তলার কর্মচারী চেঞ্জরুমের বাইরের সানসেট-এ দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে আড়ংয়ের নারী কর্মচারীদের অজান্তে তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার সময় ভিডিও ধারণ করতো। তার কাছ থেকে ১৩ জন নারীকর্মীর ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে এক নারীকর্মীর ভিডিও করার অভিযোগে ডিসেম্বর মাসে সজীবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে তার কাছে আগের করা সব ভিডিওগুলো সংরক্ষিত ছিল। তাকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। তার কাছ থেকে আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।