নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের আমানুল্লাপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে ছাত্র শিবির কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আমানুল্লাপুর ইউনিয়নের একেজি ছায়দল হক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান হিরণ ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বঙ্গ মুন্সিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে শিবিরের নেতাকর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় বঙ্গ মুন্সিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোববার বিকেলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তার স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, তার এক পা প্রায় শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে হামলাকারীরা।

আমানুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক আরিফ অভিযোগ করেন, জামায়াত নেতা আলমগীর চেয়ারম্যানের ইন্ধনে আমানুল্লাপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের শিবিরের ক্যাডার ফেনী আলম, পিয়াস, নজরুল, রাজীব, সোহাগ, আরাফাতের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি বিদ্যালয়ে শিবিরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করতে গেলে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হন।

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ জানান, শিবিরের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।