মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো লাখো মুসল্লির মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় সমাবেশ শেষ হলো।

কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ যোবায়েরুল হাসান মোনাজাত পরিচালনা করেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাংলায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও কল্যাণের পাশাপাশি ইমান- আমলের জন্য মেহনত ও আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়।

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার ৫৫তম আয়োজনের প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।

ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই টঙ্গীর তুরাগতীরে সমবেত হতে শুরু করেন মুসল্লিরা। শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এবারে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। ওইদিনই ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে শরীক হন লাখ লাখ মুসল্লি।

শনিবার ফজরের নামাজের পর থেকেই বয়ানে বয়ানে মুখর হয়ে ওঠে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। ফজরের নামাজের পর আমবয়ান করেন সৌদি আরবের মাওলানা আবদুর রহমান, বাদ জোহর মাওলানা ইসমাইল, বাদ আসর ভারতের মাওলানা জুহাইরুল ইসলাম ও বাদ মাগরিব ওই দেশেরই মাওলানা ইব্রাহীম দৌলা। মূল মঞ্চ থেকে তাৎক্ষণিক বাংলায় তর্জমা করে তা শোনানো হয়।

ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে জড়ো হচ্ছেন। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তাশকিল কামরার পাশে প্রতিবন্ধীদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।