ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম পল্টন হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, আবুল কাশেম ফকির ওরফে বাচ্চু মেম্বার, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে ১ মার্চ সকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পল্টনকে তার ওষুধের দোকানে মাথা ও কপালে আঘাত করে খুন করা হয়। দোকানের ভিতরে বাঁশের খুটির সঙ্গে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে চলে যায় খুনিরা।
এ ঘটনায় পল্টনের বোন বিউটি আক্তার ১ মার্চ নান্দাইল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা জানান, আসামিদের মধ্যে রুমা আক্তার ও ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ‘ওই জবানবন্দিতে তারা বলেন, রুমা আক্তার একজন যৌনকর্মী। মাজহারুল ইসলাম পল্টনের ওষুধের দোকানে আসামিদের কয়েকজন রুমার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হন। পরে ওই ব্যক্তিরা তাকে যৌনকর্মী হিসেবে পারিশ্রমিক না দেওয়ায় পল্টনকে সেই টাকা দিতে চাপ দেন রুমা। কিন্তু পল্টন তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আসামিরা পল্টনকে মারপিট করে হত্যা করে।’