ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার এবং প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার।

দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এটি চলবে।

রোববার নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। এর আগে ইসির ৫৭তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে। সম্প্রতি দুই সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিতসহ ৪৮ জন কাউন্সিলর জানুয়ারিতে নির্বাচন না করতে কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তারা হুমকি দিয়েছিলেন যে, তাদের আসনে নির্বাচন করলে উচ্চ আদালতে যাবেন। তবে ইসির নির্ধারিত সময়ে ওইসব ওয়ার্ডেও নির্বাচন হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণে একই বছরের ১৬ মে।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯টি এবং ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৯৯৮টি।

এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের কথা থাকলেও তা থেকে পিছিয়ে আসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার জন্য ভোটের সময় কিছুটা পেছানো হয়েছে। কারণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিম।