সংগ্রামমুখর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী , মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকি আজ। ২০১১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ,জননেতা আবদুর রাজ্জাক লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
জননেতা আবদুর রাজ্জাক তার সমগ্র জীবন উতসর্গ করেছিলেন বাঙ্গালির স্বাধীকার স্বাধীনতা ও শান্তি ও সামাজিক অধিকার আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন প্রতিটি গনতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক । ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন,৬৬’ছয় দফা,৬৯’র গন অভ্যুর্থানে এবং ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন।
আব্দুর রাজ্জাকের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দুইবার পুর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশব্যাপি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বাকশালের সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বাকশালের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯১ সালে বাকশাল আওয়ামীলীগের সাথে একীভুত হয়ে গেলে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। ২০০৯ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা আসন থেকে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে কালকিনী-গোসাইরহাট নির্বাচনী এলাকা থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে শরীয়তপুর-৩ ও মাদারীপুর-২, ১৯৯৬ সালে শরীয়তপুর-১, শরীয়তপুর-৩, ২০০১ সালে শরীয়তপুর-৩ ও ফরিদপুর-৫ ও ২০০৮ সালে শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী নিযুক্ত হন। আব্দুর রাজ্জাক বিশ্ব শান্তি পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।