অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 310 বার
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল টাউন এলাকায় ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের নাম- আব্দুল আজিজ, মো. মোবারক হোসেন, মো. হাসান ও মো. হারুন মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এত অভিযোগ থাকার পরেও এতদিন তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে খোদ ডিবি অফিসের আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছে এই চক্রটি।
একটি সূত্রে জানা যায়, এই চক্রটি শনিবার রাতে জিনজিরা ইউনিয়নের মডেল টাউন এলাকার ২ নং রোডের জনৈক মিজানুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ির লোকজনদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে চক্রটি বাড়ির মালিক মিজানুরকে অবৈধ ব্যবসা করার কথা বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। পরে চক্রটি মিজানুরের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকার মধ্যে নগদ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ সময় ওই বাড়ির পাশের লোকজনদের বিষয়টি সন্দেহ হলে এক লোক ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি অফিসে ওসি নজরুল ইসলামকে ফোন করেন। খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। তাদের দেখে ভুয়া ডিবি পরিচয়দানকারীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদের মধ্যে চারজনকে আটক করা হয়।
সূত্রে আরো জানা যায়, এই গ্রুপে রয়েছে ১০-১২ জনের একটি চক্র। তারা চাঁদা দাবি করে বাড়ির মালিকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জিনজিরা ইউনিয়নের বন্দ ডাকপাড়া, শহীদনগর, গোলামবাজার এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। এই ঘটনাটি একাধিকবার স্থানীয় লোকজন ডিবি পুলিশ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয়। এ চক্রের মূল হোতা আব্দুল আজিজ। এতদিন তার দল নিয়ে আত্মগোপনে ছিল। আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। আব্দুল আজিজ লোকজন দিয়ে কদমতলী তানাকা ফিলিং স্টোশনের কাছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে বলেও এলাকাবাসী জানান। কিছুদিন আগে মাদক ব্যবসা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা ডিবি (দক্ষিণ) এর ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মডেল টাউন এলাকায় জনৈক মিজানুরের বাড়িতে একদল ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে, এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সেখান থেকে চার ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দানকারীকে আটক করি। এর সর্দার হচ্ছে আব্দুল আজিজ। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সে এতদিন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জিনজিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন মহল্লায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। অভিযান চালিয়ে আব্দুল আজিজসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরো তদন্ত চলছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এই চক্রের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply