জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 484 বার
ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা ও ভোগান্তি বেড়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের। আগে যেসব দেশে ভিসা সহজে পাওয়া যেত, সেসব দেশে এখন ভিসা পেতে বড় ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশিদের। রোহিঙ্গা ইস্যুসহ কয়েকটি কারণে এই দুর্ভোগ বেড়েছে বলে সংশ্নিষ্টরা জানান।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এশিয়ার বড় দেশগুলোতে এখন সহজে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা। যেমন বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ভ্রমণকারীদের পছন্দের গন্তব্যস্থল থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে কোটা বেঁধে দিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার ক্ষেত্রে মোট আবেদনকারীর ২০ শতাংশও এখন আর ভিসা পাচ্ছেন না। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ভিসার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা।
সার্কভুক্ত কয়েকটি দেশসহ ৪১টি দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা রয়েছে বাংলাদেশের। এসব দেশের অধিকাংশ বাংলাদেশ থেকে দুর্গম গন্তব্যের। ফলে এই অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য খুব একটা কাজে আসছে না। ভিসা না পেলেও কিংবা ভোগান্তির শিকার হলেও ভিসার আবেদন বাবদ বছরে প্রায় শতকোটি টাকার বেশি চলে যাচ্ছে বিদেশে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনার খবরেই মূলত থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা কড়াকড়ি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান চলতি বছরও প্রায় তলানিতে ৯৯-এ রয়েছে। ২০১৮ সালে এই অবস্থান ছিল ১০০।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মূলত সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা এবং বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক খবর প্রকাশই এর জন্য দায়ী। গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত এবং নেতিবাচক খবর দেখেই বিভিন্ন দেশ ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে রক্ষণশীল ভূমিকায় চলে যাচ্ছে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টের দুর্বল অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব বিশ্ব র্যাংকিং যারা করে তারা স্বচ্ছ নয়, তাদের ক্ষেত্রে অনিয়ম আছে। ফলে এসব র্যাংকিং একবাক্যে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
ভিসা পাওয়ায় ভোগান্তির চিত্র :আলাপের সময় ভুক্তভোগীদের কেউই নিজের
প্রকৃত নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। তাদের ভয়, পত্রিকায় নাম প্রকাশিত হলে ভবিষ্যতে আর কখনই কাঙ্ক্ষিত দেশে ভিসা পাবেন না। সম্প্রতি ফারুক হোসেন (ছদ্মনাম) থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি রয়েল থাই দূতাবাসের তালিকাভুক্ত একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমেই যথাযথ দলিলাদিসহ আবেদন করেন। কিন্তু তার ভিসার আবেদন নিবন্ধিত ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে থাই দূতাবাসে জমা হতেই পার হয়ে যায় তিন সপ্তাহ। এরপর জমা হলে তাকে ফোন করা হয়। কেন যাচ্ছেন, থাইল্যান্ডে কোথায় কোথায় যাবেন, কোন হোটেলে থাকবেন, কোনো দেশে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন কি-না কখনও, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তার কর্মস্থলসহ কয়েকটি জায়গাতেও একের পর এক ফোন করা হয় এবং তথ্য জানতে চাওয়া হয়। আরও এক সপ্তাহ পর ভিসা পান তিনি। ফারুক হোসেনের সঙ্গে থাকা তার অন্য আত্মীয়কে ভিসা দেওয়া হয়নি।
একটি নামি বেসরকারি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী সমমর্যাদার এক কর্মকর্তা কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্নেরও ঠিকঠাক জবাব দেন। কিন্তু তাকে ‘নো’ জানিয়ে দেওয়া হয়। অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা জানান, প্রায় সাত মাস আগে তিনি ভিসার আবেদন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে। সাক্ষাৎকারের পর তার পাসপোর্ট ‘অ্যাডমিনিসট্রেটিভ প্রসেসে’র জন্য রাখা হয়। এই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তার পাসপোর্টই ফেরত দেওয়া হয়নি দূতাবাস থেকে।
অনুসন্ধানে একাধিক ভিসাপ্রার্থী জানান, তারা ইউরোপ ভ্রমণের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেনজেন ভিসার আবেদন করলেও সুইডেন, জার্মানি, ইতালি দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনই গ্রহণ করা হয়নি। আবেদন দেখে ভিসা এজেন্সি কোম্পানি তাকে জানিয়ে দেয়, তার ভিসার আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কেন গ্রহণ করা সম্ভব নয়, তাও জানানো হয়নি। কানাডার ভিসা পেতে আবেদন জমা দিতে গিয়ে ভিসা এজেন্সির অফিসে বড় ধরনের ভোগান্তি এবং বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
ইন্দোনেশিয়ার বালি ও জাকার্তায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ভিসামুক্ত প্রবেশ’ অর্থাৎ অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা থাকলেও এখন ঢাকা ও বালি বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত জিজ্ঞাসাবাদ এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভ্রমণেচ্ছুদের। ভুক্তভোগী একজন জানান, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারা চার বন্ধু আনন্দ ভ্রমণের উদ্দেশে গত আগস্ট মাসে বালি যাওয়ার জন্য মালিন্দো এয়ারলাইন্সে টিকিট কেটে যাত্রার সব আয়োজন সম্পন্ন করেন। যাত্রার শুরুতেই দলে থাকা নতুন পাসপোর্টধারী এক বন্ধুকে ঢাকায় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনেই আটকে দেওয়া হয়। তাকে জানানো হয়, যারা একেবারে নতুন পাসপোর্ট করেছেন এবং আগে কখনও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই তাদের ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে যেতে হবে, এটাই এখন নিয়ম। তিনি যেন ভিসা নিয়ে তারপর যান। পরে তারা তিন বন্ধু বালি রওনা হন। এই ভুক্তভোগী জানান, বালিতে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়ালে তাদের সেখান থেকে এক কর্মকর্তা ডেকে নিয়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে তাদের কাছে বালি ভ্রমণের কারণ, বালি সম্পর্কে কার কাছে শুনেছেন, বালিতে কোথায় থাকবেন, কীভাবে ঢাকা থেকে এসেছেন তা জানতে চান। পরে হোটেল বুকিংয়ের দলিল দেখে বালিতে প্রবেশের অনুমতি দেন। তিনি জানান, বিষয়টি কিছুটা অপমানজনক মনে হয়েছে, কারণ ইমিগ্রেশনের লাইনে ভারতীয়, শ্রীলংকান, চীন ও মিয়ানমারের নাগরিকরাও ছিলেন। তাদের কাছ থেকে হাসিমুখে পাসপোর্ট নিয়ে সিল দিয়ে দ্রুত প্রবেশের সুযোগ দেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। শুধু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের নিয়ে যাওয়া হয় পাশের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
কেন এই ভোগান্তি :থাই দূতাবাসের দুটি ভিসা এজেন্সির এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর থেকে ঢাকার রয়েল থাই দূতাবাস দিনে ভিসার আবেদন জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোটা বেঁধে দিয়েছে। দিনে দুইশ’র বেশি ভিসার আবেদন নেওয়া হয় না। অথচ ঢাকায় অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি দশটি। এ হিসেিব প্রতিটি ট্রাভেল এজেন্সি দিনে মাত্র বিশটির বেশি আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ পায় না। অথচ আগের বছরের গড় হিসাব অনুযায়ী, দিনে প্রায় এক হাজার থেকে ১২শ’ ভিসার আবেদন জমা পড়ত। এ হিসাবে একটি ট্রাভেল এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ ভিসার আবেদন জমা দিত প্রতিদিন। এখন মাত্র ২০টি আবেদন জমা নেওয়ার কারণে ভিসার আবেদন দূতাবাসে জমা পড়তে দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যাচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে এশিয়ার কোনো দেশে ভ্রমণের জন্য ভারতের পরই সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য। এখন কোটা বেঁধে দেওয়ার কারণে ভিসা প্রার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, এর আগে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের একাধিকবার কথা হয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিগত বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রোহিঙ্গা শরণার্থী থাইল্যান্ডে গেছে। এ ছাড়া থাইল্যান্ডে ভ্রমণে গিয়ে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের অযাচিত সেলফি তোলাসহ বিরক্তিকর আচরণ সম্পর্কে অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ইউরোপীয় পর্যটকদের কাছ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসার আবেদন ভালোভাবে যাচাই করার জন্যই কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, মাত্র দুটি ভিসা এজেন্সি প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাইল্যান্ডের বড় সংখ্যায় ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দুরূহ হয়ে পড়ছে। এজেন্সি সংখ্যা বাড়ানো হলে ভোগান্তি কমবে।
বালিতে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ প্রসঙ্গে সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত বছরগুলোতে ‘ভিসামুক্ত’ প্রবেশ সুবিধার সুযোগ নিয়ে বালি দ্বীপ ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় কয়েকটি অবৈধ শ্রমিক দল পাঠানো হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বালির একটি পরিত্যক্ত ভবনের তালাবদ্ধ ঘর থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রাখা ১৯৩ বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে বালি পুলিশ। এর আগে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বালি পুলিশ, যারা বালি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসব ঘটনার পর ‘ভিসামুক্ত সুবিধা’ অব্যাহত থাকলেও নতুন পাসপোর্টধারীদের ঢাকা থেকে ভিসা ছাড়া যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বালিতেও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।
সংশ্নিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে হেনলি অ্যান্ড পাসপোর্ট পার্টনারস ইনডেক্স অন্যতম স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়। এই সূচকে চলতি বছরে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ৯৯, আগের বছর ছিল ১০০ এবং তার আগে পাঁচ বছর ধরে অবস্থান ছিল ৯৫। তালিকায় নিচের দিকে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে সি বা ডি ক্যাটাগরিতে চলে যান। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের কেউ কেউ উন্নত দেশে গিয়ে আর ফিরে আসেন না এবং অবৈধভাবে বসবাসের চেষ্টা করেন- এমন আশঙ্কা থেকেই বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা আরোপ করা হচ্ছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ভিসা প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি কঠোরতার মুখে পড়েন। সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার ক্ষেত্রে মোট আবেদনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভিসা পেয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, পর্যটক হিসেবে ভিসা নিয়ে ফেরত না আসার একাধিক রেকর্ডের কারণে এশিয়ার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া কঠিন। চীনে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছাড়া নতুন সবুজ পাসপোর্টধারীদের ভিসার আবেদন জমা নেওয়া হয় না। অর্থাৎ চীনের ভিসার আবেদন করতে হলে আগে অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করতে হবে। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, আগে এ ধরনের নিয়ম ছিল না। তবে রোহিঙ্গা সংকট প্রকট আকার ধারণ করার পর থেকে চীনা দূতাবাস এ নিয়ম চালু করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও মালয়েশিয়ার ভিসা অপেক্ষাকৃত সহজে পাচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। তবে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া, ইমিগ্রেশনে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ এমনকি ফেরত পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। উৎস- সমকাল
Leave a Reply