ভারত সরকারের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের দেশটিতে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটা হঠাৎ বাতিল করা হয়েছে।সফর বাতিল প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারতে যাচ্ছেন না। তাছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের ঢাকায় না থাকায়ও এই সফর বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে ভারতের আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হওয়া ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কারণে ভারত সফর বাতিল করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

আগামী মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

দ্য ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) সম্মেলনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তিন দিনের সফরসূচি নির্ধারণ হয়। এ সম্মেলনের ফাঁকে নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আবদুল মোমেনের।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানির মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

বুধবার তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এর ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়। এর ফলে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব বিষয়ে জটিলতা রয়েই গেল।

এর আগে বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখান থেকে পদস্খলন হলে ভারতের যে ঐতিহাসিক অবস্থান, তা দুর্বল হয়ে যাবে।’

গত সোমবার ভারতের লোকসভায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষেরা নিপীড়িত হচ্ছেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে ভারতের লোকসভায় যে অভিযোগ ওঠেছে, তা সঠিক নয়। বাংলাদেশ দৃঢ় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে এবং চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে সকল ধর্মের অনুসারীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে বলেও জানা