কেমন হতো যদি শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিশ্বমানের ভারতীয় চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নিতে পারতেন ঘরে বসেই? আপাতদৃষ্টে অসম্ভব মনে হলেও এই সেবা গ্রহণ করা এখন খুবই সম্ভব। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে seekmed। গুগল প্লে স্টোর থেকে এ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ঘরে বসেই নেওয়া যায় বিশ্বমানের ভারতীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ।

প্রতিবছর লাখো মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় চিকিৎসা নিতে। রেগুলার চেকআপ থেকে কঠিনতম সার্জারি, যেকোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতই বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভারতে গেছে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে।
তবে বিদেশে গিয়ে চি­­­­কিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা ধরনের বাধা। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুটি বিষয়—খরচ ও রোগীর শারীরিক অবস্থা। বিশ্বমানের একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা এবং প্রচুর পরিমাণ অর্থ। ভিসা ম্যানেজ করা থেকে শুরু করে প্লেন ভাড়া এবং বিদেশে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সময় ব্যয় করতে হয়। প্রায়ই দেখা যায়, রোগীরাও বিদেশযাত্রার ধকল নিতে পারেন না। তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলো অনিশ্চয়তা। কীভাবে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে, বিদেশে গিয়ে কোথায় থাকলে সুবিধা হবে, প্রথমবার চিকিৎসককে দেখানোর পর ভবিষ্যতে কীভাবে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে, বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেটি দেশ থেকে কীভাবে সংগ্রহ করতে হবে, এমন নানা বিষয় নিয়ে রোগীরা থাকে সন্দিহান। এ ছাড়া বিদেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে খরচ হয় প্রচুর অর্থ। এই সমস্যাগুলো দূর করে, টেলিমেডিসিন চিকিৎসাক্ষেত্রে নিয়ে আসতে পারে নতুন বিপ্লব এবং seekmed ইতিমধ্যেই এই বিপ্লব নিয়ে আসার ক্ষেত্রে পালন করছে অগ্রণী ভূমিকা। এ অ্যাপটি কাজ করছে, এমন একটি মাধ্যম হিসেবে যার ফলে খুব স্বল্প খরচে, বিদেশ ভ্রমণের ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসেই ভিডিও কলের সাহায্যে পাওয়া যাবে বিশ্বমানের ডাক্তারি পরামর্শ।

অ্যাপটির ব্যবহারপদ্ধতি খুবই সহজ। প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে, রেজিস্টার করলেই মিলবে পছন্দের চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণের সুযোগ। নির্ধারিত সময়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকিৎসকই পেশেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এ ছাড়া পেশেন্ট চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনে নিজের রিপোর্টও অ্যাপটিতে আপলোড করতে পারবেন।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত seekmed-এর গ্রহণযোগ্যতা চোখে পড়ার মতো। যাত্রা শুরুর মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় অ্যাপটি পৌঁছে যায় প্রায় ২৮টি দেশে। যার মধ্যে রয়েছে ঘানা, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি।

seekmed অ্যাপটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন মি. অলোক আভাস্তি, তিনি একজন আইটি স্পেশালিস্ট। সঙ্গে রয়েছেন মি. শারদ দুবে, একজন প্রসিদ্ধ ফিন্যান্সিয়াল এক্সপার্ট। তাঁরা দুজনেই মনে করেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে অ্যাপটিতে বিশ্বমানের ভারতীয় চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারা। অ্যাপটিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া অধিকাংশ চিকিৎসকই অর্জন করেছেন পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী এবং ডাক্তার বি সি রায় অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মাননা। তারা অনেকেই ফরটিস, মেদান্ত, পিএসআরআই, ম্যাক্স এবং বিএলকের মতো হসপিটালের চেয়ারম্যান অথবা হেড অব ডিপার্টমেন্টের পদে আসীন।

চিকিৎসাসেবা নিতে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য তাই seekmed হয়ে উঠতে পারে সেবা নেওয়ার বড় একটি মাধ্যম। অ্যাপটির মাধ্যমে বাংলাদেশিরা বিদেশে যাওয়ার ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই স্বল্প খরচে গ্রহণ করতে পারেন আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা।