ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে তথ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এর আগে চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছিল। এদের বেশির ভাগেরই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। তবে অনেকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আসায় বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে আরো তথ্যের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এতে নতুন আঙ্গিকে আবারো অনেকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার নতুন ও পুরাতনসহ আরো ১১৮ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক। এদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, জাতীয় সংসদের হুইপ, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে। এর আগে ৩৩ ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতা ধাপে ধাপে হচ্ছে। আগে শুধুমাত্র সরকারি দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও কিছু সরকারি কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ছিলেন। এখন আওতা বাড়িয়ে ব্যাংকিং খাতের দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে নীরবে দুর্নীতি, ব্যাংকের টাকা গায়েব, বিভিন্ন ঘুষ ও দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রায় দুই ডজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করার পরেই তাদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে যাদের তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই ব্যাংকে বিপুল অংকের লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য অনেকেরই আরো তথ্য সংগ্রহ করছেন। এ কারণে তাদের চাহিদামাফিক ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চাওয়া হচ্ছে।

এ দিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সংস্থার তথ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। এক সাথে বিভিন্ন সংস্থার তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে হচ্ছে। আবার সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা ব্যাংক থেকে যাতে অর্থ সরিয়ে ফেলতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। ব্যাংকাররা জানান, বছরের শেষ সময়ে এসে ব্যাংকগুলোতে কাজ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে সারা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চূড়ান্ত করা হয়। এর ওপর ভিত্তি করেই ব্যাংকগুলোর বার্ষিক মুনাফা, মুনাফা থেকে কর প্রদান এবং খেলাপি ঋণের বিপরীতে মুনাফা থেকে প্রভিশন সংগ্রহ করতে হয়। এ হিসাবগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে সরবরাহ করতে হয় বলে এটা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করতে হয়। এর ওপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য সরবরাহ করতে গিয়ে তাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সন্দেহভাজনদের ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন নিয়ে। কারণ, কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করলে দায়-দায়িত্ব ব্যাংকগুলোকেই বহন করতে হবে। এ কারণে পত্রপত্রিকায় যেসব বিতর্কিত ব্যক্তির নাম উঠে আসছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

এ দিকে চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে দুদক অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১১৮ জনের তালিকা করে তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এ জন্য সাত সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে তালিকাভুক্তদের বিষয়ে তথ্য জানতে বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সংস্থাটির কাছে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। চিঠিতে বলা হয়, ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নি¤œবর্ণিত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত হিসাব পর্যালোচনা একান্ত আবশ্যক। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১১৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব : দুদক যাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে তারা হলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদফতরের ঠিকাদার জি কে শামীম, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন স¤্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনায়েদ, মো: জহুর আলম, এস এম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার, শরফুল আওয়াল, নাদিম (ওমানে অবস্থানরত শীর্ষ সন্ত্রাসী), জিসান (জার্মানিতে অবস্থানরত শীর্ষ সন্ত্রাসী), জাকির (মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনি, ঢাকা), সেন্টু (নয়াটোলা, ঢাকা), নাসির (বাড্ডা, ঢাকা), ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল (বনানী গোল্ড ক্লাবের মালিক), ব্যবসায়ী আবুল কাশেম (বনানী গোল্ড ক্লাবের মালিক), গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন মিয়া, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভূঁইয়া, ঢাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাতেনুল হক ভূঁইয়া, হারুনুর রশীদ, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম, শিক্ষা অধিদফতরের ঠিকাদার মো: শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডিএসসিসির কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো: আবু কাওছার, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সোহেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান, নোয়াখালীর মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোংয়ের মালিক-ঠিকাদার জামাল হোসেন, পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের মালিক-ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার, সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের মালিক-ঠিকাদার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব, যুবলীগ নেতা গাজী সরোয়ার বাবু, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত উল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের, নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমিন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, বান্দরবানের সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মন্টু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপন, পরিচালক জামিল উদ্দিন শুভ, পরিচালক এস এইচ এম মহসিন, পরিচালক উম্মে হাবিবা নাসিমা আক্তার, পরিচালক জিয়া উদ্দিন আবীর, পরিচালক যাওয়াদ উদ্দিন আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাজ্জাদ, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী জিয়া, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: শহীদুল ইসলাম, ঠিকাদার তবিবুল হক তামিম, শাহেদুল হক ও তার স্ত্রী সাবিনা তামান্না হক, যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো: আবু কাওছারের স্ত্রী পারভীন সুলতানা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নীলা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কে এস মাসুদুর রহমান, তার বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, স্ত্রী লুৎফুন নাহার লুনা, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি মুরসালিক আহমেদ, তার মা আছিয়া বেগম, বাবা আবদুল লতিফ, স্ত্রী কাওছারী আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরান প্রিন্স মোহাব্বত, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা আতিয়ার রহমান দীপু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, যুবলীগ ঢাকা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সায়মা আফরোজ, কমলাপুর আইসিডির কমিশনার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার কানিজ ফারহানা শিমু, সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিনুল হক, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম এবং গণপূর্ত সার্কেল-৪, ঢাকার উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর হোসেন। উৎস -নয়া দিগন্ত