অর্থনীতি | তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 623 বার
এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস)-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগে দেশে তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপ শেষে কেন্দ্র নির্মাণের স্থান ঠিক করা হবে। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাজাধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে সৌদি আরবের কোম্পানি আকুয়া পাওয়ারের এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ এবং আকুয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবু নাইয়ান স্মারকে সই করেন।
আকুয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবু নাইয়ান অনুষ্ঠানে বলেন, বিশ্বের ১২টি দেশে আমাদের কোম্পানি কাজ করছে। আমাদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ সৌর বিদ্যুতে। এছাড়া জলবিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ নিয়েও আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে সেটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক অনেক ভালো। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশে সৌদির আল ফানাহ নামে একটি কোম্পানি ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনে চুক্তি করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহেশখালী অথবা পায়রায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আকুয়া পাওয়ার। এই চুক্তির মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আমরা যখন গত নভেম্বরে সৌদি আরব সফর করি, তখন সৌদি বাদশা বলেছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পিআইএফ (পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড) টিম পাঠাবেন। এক বছরের কম সময়ে তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি বলেন, এনার্জি হচ্ছে অর্থনীতির চালিকা শক্তি। বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য এসেছে এই খাতে। এ সমঝোতা স্মারকের পর খুব দ্রুত চূড়ান্ত চুক্তি ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চার থেকে ৫ বছর সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের ঝুড়ি এখন ভরা। তারপরও উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে আমাদের আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগ দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জিই এর সঙ্গে পিডিবি এবং জামানির সিমেন্সের সঙ্গে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির একই ক্ষমতার দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।সুত্র-সংবাদ
Leave a Reply