ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউলিয়া ইউজিক নামের এক রাশিয়ান নারী সাংবাদিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তেহরানে অবস্থিত রাশিয়ান অ্যাম্বেসির একজন কর্মকর্তা, ইউলিয়ার কয়েকজন সহকর্মী ও আত্মীয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার খবরটি নিশ্চিত করেছে রাশিয়াভিত্তিক সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।

রাশিয়ান অ্যাম্বেসির মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, ইউলিয়ার গ্রেপ্তারের ব্যাপারে রাশিয়ান কূটনীতিকরা অবগত আছেন এবং তারা এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছেন। অ্যাম্বেসির কর্মকর্তা এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি। ইউলিয়ার সাবেক স্বামী সাংবাদিক বরিস ভয়েটসেভস্কি জানান, ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। দোষী প্রমাণিত হলে এই নারী সাংবাদিকের ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। গোয়েন্দাগিরির এই অভিযোগের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য কিছু নিশ্চিত করা হয়নি ইরান সরকারের পক্ষ থেকে।

ইরানে রাশিয়ান একটি সংবাদসংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন ইউজিক। ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাকে একটি চিঠির মাধ্যমে তলব করা হয় তেহরানে। ভয়েটসেভস্কি জানান, ইউলিয়া তেহরানে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নেয় ইরানি সীমন্তরক্ষীরা।

ইউজিকের কন্যা তার মায়ের ফেসবুক পেইজে জানান, খুব বড় বিপদে ফেঁসে গেছেন এই নারী সাংবাদিক। আগামী ৫ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হবে ইরানের আদালতে। এরপরই জানা যাবে, ইউজিকের ভাগ্যে কি আছে।

ইউলিয়া ইউজিক ১৯৮১ সালে রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে “আল্লাহ’স ব্রাইড” (আল্লাহর পত্নী) নামে একটি বই লেখার পর প্রথম আলচনায় উঠে আসেন এই নারী সাংবাদিক। বইটিতে তিনি রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর ককেশাস অঞ্চলের নারীদের আত্মঘাতী বোমারু হয়ে ওঠার কাহিনী বর্ণনা করেছিলেন।