অস্ত্র ও ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তার বাসার আলমারি থেকে দুই প্যাকেটে চারশ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্রের বিষয়েও কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।যুগান্তর

তবে জব্দ করা অপর দুটি অস্ত্রের বিষয়ে বলেছেন, ওই দুটি অস্ত্র বৈধ। বৈধ অস্ত্র দুটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি খেয়াল করেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের বিষয়ে মুখ খোলেননি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তবে ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মতিঝিলে তার ৫০ কোটি টাকার ঠিকাদারির কাজ চলছে। ৩০০ ফুট এলাকায় ৪০ কোটি টাকার কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। গণপূর্ত অধিদফতর, রাজউক ও বিদ্যুৎ ভবনসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে অনেক ঠিকাদারি কাজ করেছেন।

ক্যাসিনো চালানোর অনুমতি না থাকলেও কেন ইয়ংমেনস ক্লাবে তিনি ক্যাসিনো চালাচ্ছিলেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, অন্যরা বিভিন্ন ক্লাবে এটা চালাচ্ছিলেন। তাই ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে আমি এটা শুরু করি। তবে এটা আমেরিকান প্রবাসী এক বাংলাদেশির কাছে লিজ দিয়েছিলাম। এর বিনিময়ে দৈনিক ও মাসিক টাকা পেতাম। তিনি বলেন, ক্যাসিনোয় আমি কখনও ঢুকিনি। শুধু উদ্বোধনের দিন গিয়েছিলাম।

গুলশানের বাসা থেকে বুধবার রাতে খালেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। বৃহস্পতিবার অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় খালেদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার মামলা দুটির তদন্তভার গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ। এদিন রাতেই তাকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়।

ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহজাহান সাজু শনিবার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন খালেদ। বৈধ বিষয়গুলো স্বীকার করলেও অবৈধ বিষয়গুলোতে মুখ খুলছেন না। তবে নানা সূত্র থেকে তার অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেসব বিষয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে অস্ত্র ও মাদকের মামলা। ক্যাসিনোর মামলা আমার কাছে নেই। ক্যাসিনোর বিষয়ে ঘটনাস্থলেই ১৪২ জনকে সাজা দিয়েছেন র্যবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ