আজ ছিল জাতীয় কবির ১১৯তম জন্মজয়ন্তী । সারাদেশে গরম বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে প্রেম ও দ্রোহের কবিকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের।
ভোর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে জাতীয় কবির সমাধিসৌধে নামে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। কবি পরিবারের পক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তার ছেলে সব্যসাচী কাজীর স্ত্রী উমা কাজী, কবির দৌহিত্র দুর্জয় কাজী ও জয়া কাজী।

উমা কাজী বলেন, এ দেশ, বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে কাজী নজরুল ইসলামও ততোদিন অমর হয়ে থাকবেন। কবি নজরুল তরুণদের মধ্যে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। নজরুল তার কবিতা-গানে দেশের কথা বলেছেন, সাম্যের কথা বলেছেন। কবিকে জানতে হলে তার কবিতাকে জানতে হবে, তার লেখা পড়তে হবে। বিভিন্ন ভাষায় কবির লেখা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান উমা কাজি।

কবির বাল্যস্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল মঞ্চে জাতীয় পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন , বাংলা সাহিত্য-সংগীতের অন্যতম পথিকৃত যুগস্রষ্টা জাতীয় জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার কালজয়ী প্রতিভা ও জীবন দর্শন, মানবিক মূল্যবোধের স্ম্ফূরণ, সমৃদ্ধশালী লেখনী বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। নজরুল শুধু বাংলার জাতীয় কবিই নন, তিনি জাগরণের কবি, সাম্যের কবি। তিনি শোষণ, বঞ্চনা, অত্যাচার, কুসংস্কার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আমাদের জাতীয় সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নজরুলের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তার জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। পরাধীন ব্রিটিশ আমলে সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন

নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের। গতকাল বিকেলে কবির স্মৃতিধন্য ময়মনসিংহের ত্রিশালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়াও কবির স্মৃতিধণ্য কুমিল্লা ও চট্টগ্রামেও আয়োজন ছিল নজরুল-জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের।