বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার মাকে ধর্ষণের এক পর্যায়ে চোখ পড়ে মেয়ের দিকে খোকন মিয়ার । পরবর্তীতে বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই মহিলা বিয়ে জন্য চাপ দেন। এনিয়ে খোকনের সাথে মনোমালিন্য হয় ওই মহিলার।

একপর্যায়ে কোরবানি ঈদের দু-তিন দিন আগে ওই মহিলার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলেট নিয়ে এসে ওসমানী নগরের বড় ইউসুফপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাসায় রেখে ধর্ষণ করে। ওই বাসায় খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীরের মোবাইল দিয়ে ওই মেয়ে তার মা’কে বিষয়টি জানালে গত শনিবার তার মা সিলেট এসে খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা মা ও মেয়ের বাড়ি খুলনায়। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে খোকন। এরমধ্যেই ওই নারীর কিশোরী কন্যার দিকে নজর পড়ে তার। গত ১০ই আগস্ট খুলনা থেকে কিশোরীকে সিলেটে নিয়ে যায় খোকন। সেখানে জোর করে করে আটকে রেখে তাকেও ধর্ষণ করে। রোববার কৌশলে ফোনে পরিবারকে তার অবস্থান জানায় কিশোরী। খবর পেয়ে সিলেটে পৌঁছে রাতেই ওসমানী নগর থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর রাত ১টার দিকে পুলিশ খোকনকে গ্রেফতার করতে ওমরপুর গ্রামে অভিযান চালায়।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মামুন জানান সাংবাদিকদের জানান, অপহৃত কিশোরীসহ খোকনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে খোকনের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় মামলা করা হয়েছে খোকনের নামে। এ মামলায় রাতেই গ্রেফতার করা হয় খোকনের বাবাকে। আসামি খোকন মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা।