গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৬ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শ্রেণিকক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নিয়ন, মো. রাশেদ হাসান, মুনিম ইসলাম হিরা, ঝিলাম হালদার, ফাহমিদা বৃষ্টি ও দেবব্রত রায়।

বহিষ্কার আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নিয়ন তাদের বিভাগের ১০৩নং ক্লাস রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করে। এ লেখালেখিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, এই মর্মে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বি. কে বালা সতর্ক করেন। তা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেয়। এ স্ট্যাটাসে হাবিবুল্লাহ নিয়ন ও তার সহপাঠীরা কিছু অপ্রীতিকর মন্তব্য লেখে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ।

এ ঘটনার তদন্তে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। তবে এ বিষয়ে বিভাগটির বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, দ্রুত এ সমস্যার ভাল সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তাই এ নিয়ে তারা আর কোন কথা বলতে চাচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় গঠিত বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের আপত্তিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনা করেছে। তারপর কমিটি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারপরও যদি শিক্ষার্থীদের কোন বক্তব্য থাকে তা ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে