নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন মেডিকেলে গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য মরণোত্তর দেহদান করার অঙ্গীকার করেছেন। নিজের ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) এ গিয়ে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করে এসেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, মরণোত্তর দেহ দান করেছিলাম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে, ২০০৫ সালে। কিন্তু কলকাতার দরজা তো আমার জন্য বন্ধ। অগত্যা ‘এইমস’ হাসপাতালেই মরণোত্তর দেহ দানের ব্যবস্থা করলাম।
এইমস-এ অ্যানাটমি বিভাগে তার অঙ্গীকারপত্রের নম্বর ২০৩৩৪/১৮। এরপর তিনি টুইটও করেন, ‘এইমস-এ গবেষণা ও শিক্ষার জন্য আমি দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত এই লেখিকাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যেতে বাধ্য করে রাজ্যটির মৌলবাদী গোষ্ঠী। তাই সেখানে আর কখনো ফিরতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত। কিন্তু মরণোত্তর দেহদান তিনি করবেনই। তার মৃতদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হয়তো অন্য কারও জীবন বাঁচাবে। এর দ্বারা নতুন কোনো গবেষণার সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা। তাই দিল্লিতেই কাজটি দ্বিতীয়বারের মতো সমাধা করলেন তসলিমা।