বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দেয়া হাইকোর্টের জামিনের আদেশের কপি বরগুনার আদালতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে জামিনের আদেশের কপি আদালতে পৌঁছায়। তাই আজই মুক্তি পেতে পারেন মিন্নি।

গত সোমবার (২রা সেপ্টেম্বর) মিন্নিকে জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। এ আদেশের ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই ‘নো অর্ডার’ দেন। তবে, মিন্নির জামিন আটকাতে আবার আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

এর আগে, মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। মিন্নিকে ৭নং আসামি করে ৬১৪ পৃষ্ঠার পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করে।

গত ২৯শে আগস্ট, জামিনে থাকাবস্থায় বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার শর্তে মিন্নিকে জামিনের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, রিফাত হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে গত ১৬ই জুলাই সকাল পোনে দশটার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মিন্নিকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরের দিন, বিকেল সোয়া তিনটার দিকে কারাগার থেকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে নেয়ার ৪৮ ঘন্টা পরেই ১৯শে জুলাই বেলা দুইটার দিকে মিন্নিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। একইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিন্নি বরগুনা কারাগারে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে নেয়ার পর সেখানেই রিফাত শরীফ মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।