অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 367 বার
দুবার মূলধন জোগান দেয়ার পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান ভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এনবিপি) বাংলাদেশ শাখা। নতুন করে আরো ৪০ কোটি টাকার মূলধন চেয়ে করাচিতে চিঠি পাঠিয়েছে ব্যাংকটির ঢাকা অফিস। যদিও বর্তমানে ৫৪ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে ব্যাংকটি। গত ৩০ জুনের মধ্যে মূলধন ঘাটতি পূরণ করার কথা ছিল এনবিপির। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুরু থেকেই সন্দেহজনক ব্যাংকিং করে আছে এনবিপি। বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সুপারিশে ব্যাংকটির ঋণের পুরোটাই গেছে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে, পাকিস্তান ঘরানার লোকজনের পকেটে। এদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধাপরাধীও রয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এনবিপি মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূলধন সংকটের বাইরে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ৯৫ শতাংশ এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। আটকে গেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আমানত। এ অবস্থায় বছরের পর বছর লোকসান গুনছে ব্যাংকটি। এত কিছুর পরও ব্যাংটির ৬শাখা বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যেভাবে চলছে এ ব্যাংকটি, যেন দেখার কেউ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও আদৌ কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৯৮ শতাংশ। খেলাপি ঋণের পুরোটাই ক্ষতিজনক মানের। ফলে এসব ঋণ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় ব্যাংকটির মূলধন শেষ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে দুদফায় ৪২০ কোটি টাকা মূলধন আসে পাকিস্তান থেকে। এরপরও আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী এনবিপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে এনবিপির বাংলাদেশ শাখা প্রয়োজনীয় জামানত ছাড়াই সন্দেহজনক বেশ কিছু কোম্পানিকে ঋণ দেয়। সেই সময়ে ঋণশাখা এবং বিদেশি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনবিপির করাচি অফিস।ভোরের কাগজ
Leave a Reply