কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদ (৪২) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এর আগে গতকাল শনিবার ভোরে ধরা পড়েন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার।

রোববার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওসি তদন্তসহ ৩ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মোস্ট ওয়ান্টেড একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে নিয়ে আস্তানায় অভিযানে গেলে তার বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ ৩ জন আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরে গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

গতকাল গ্রেফতারের সময় তাঁর সঙ্গে ধরা পড়েছেন নুর মোহাম্মদের দেহরক্ষী আমানুল্লাহও। অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা এই ডাকাত বাহিনীর (নুর মোহাম্মদ) হাতে গত দুই বছরে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক ২২ জন নিরীহ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।

টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোক হত্যার শিকার হয়েছেন। নুর মোহাম্মদরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী অপকর্মেও জড়িত। টেকনাফ থানার পুলিশ গত এক সপ্তাহ ধরে কৌশল নিয়েছিল নুর মোহাম্মদ ডাকাতকে ধরার জন্য।

এর আগে ওমর ফারুকের হত্যায় জড়িত তিন রোহিঙ্গা আটকের পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নুর মোহাম্মদ ও আমানুল্লাহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির এজাহার নামীয় আসামি।