দিনাজপুরের বিরলে ঘোড়া জবাই করে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘোড়ার মাংস খাওয়া যাবে-এমন কথা বলে এই মাংস বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার মুসল্লীরা। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ঘোড়া জবাই ও এর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ও কাঠব্যবসায়ী কাইয়ুম আলীকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও রায়হান আলীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে এই ঘোড়ার মাংস কিনে খাওয়ার পর গতকাল বিকেলে গা-ঢাকা দেয় ওই এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিরল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে।
বিরল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এটিএম গোলাম রসুলকে এ বিষয়ে মোবাইল করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন বলেন, “ভাই জীবনে বহু জায়গায় চাকরি করেছি। কিন্তু ঘোড়া জবাই করে ঘোড়ার মাংস বিক্রির এই বিরল ঘটনাটি আমার দেখা বাকি ছিলো। বিরলের মতো জায়গায় চাক্রাারতে এসে এই বিরল ঘটনাটিও আমাকে দেখতে হলো”। ঘোড়া জবাই ও ঘোড়ার মাংস বিক্রি আইনসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, এ নিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় গিয়ে রায়হান আলী নামের একজনকে ২ কেজি ঘোড়ার মাংসসহ আটক করা হয়।ইত্তেফাক