১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত মাকালকান্দি গ্রামে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী। পাক হানাদারদের ব্রাশফায়ারে ৪৪ নারীসহ ৭৮ জন শহীদ হন।

একাত্তরের আজকের এদিন সকালে গ্রামের চণ্ডি মন্দিরে মনসা ও চণ্ডিপুজার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূজারীরা। এ সময় আজমিরিগঞ্জের সিরাজ মিয়া আর বানিয়াচংয়ের আলীরাজার ওয়াকফস্টেটের মোতাওয়াল্লী ,বোরহান উদ্দিন রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৪০ থেকে ৫০টি নৌকাযোগে পাকবাহিনী এসে গ্রামে হামলা চালায়।

পাকবাহিনী চণ্ডি মন্দিরের সামনে দাঁড় করিয়ে তরণী দাশ, দীনেশ দাশ, ঠাকুর চান দাশ, মনোরঞ্জন দাশ, প্রভাসিনী বালা দাশ, চিত্রাঙ্গ বালা দাশ, সোহাগী বালা দাশসহ ৮৮ জনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এর মধ্যে ৪৪ জনই নারী।

হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় পাকবাহিনী লুটে নেয় হিন্দুদের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয় অনেক বাড়িঘর। এতে জানমাল, সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পাকবাহিনীর হামলার পরও বেঁচে যাওয়া লোকজন পুনরায় হামলার আশঙ্কায় ভারতে পালিয়ে যান। পথে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারান।

১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হাওরাঞ্চল কাগাপাশা ইউনিয়নের মাকালকান্দি গ্রামের ৪৪ জন নারীসহ ৭৮ জন সনাতন ধর্মাবলম্বীকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বেয়নট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। সম্ভ্রমহানী করে নারীদের।লুটপাট করে নিয়ে যায় হাজার হাজার মন গোলার ধান,স্বর্ণ সহ মুল্যবান জিনিস। সেদিন আজমিরিগঞ্জের সিরাজ মিয়া আর বানিয়াচংয়ের আলীরাজার ওয়াকফস্টেটের মোতাওয়াল্লী ,বোরহান উদ্দিন রাজাকার প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তানি হানাদারদের ।