মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা জানিয়েছে, দ্বীপটি কেনা সম্ভব কি-না, তা নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই আগ্রহকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।রয়টার্স ও এএফপি

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। অষ্টাদশ শতকে ডেনমার্ক ৭ লাখ ৭২ হাজার বর্গমাইলের এই দ্বীপটিতে তাদের উপনিবেশ গড়ে তোলে। এখানে প্রায় ৫৭ হাজার লোক বসবাস করে। দ্বীপটির ৮৫ শতাংশ এলাকা বরফে ঢাকা রয়েছে। এদের বেশিরভাগ স্থানীয় এস্কিমো আদিবাসী।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের ব্যাপারে উত্সুক। ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের বলেছেন, যদি সম্ভব হয় প্রায় বরফ ঢাকা দ্বীপটি কিনে নিতে তিনি আগ্রহী। কেউ কেউ বলেছেন, এটি প্রেসিডেন্টের ‘ক্ষণিকের মুগ্ধতা’। তবে এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে গ্রিনলান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে।

এদিকে ঐ দ্বীপ বিক্রির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ। গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানে লোন ব্যাগার বলেন, ‘আমরা ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু আমরা বিক্রির জন্য নই।’ দ্বীপটি কেনার বিষয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ নিয়ে ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেছেন, ‘এটা এপ্রিল ফুলের একটি জোক হওয়া উচিত। সম্পূর্ণভাবে মৌসুমের বাইরে।’ ডেনিশ পিপলস পার্টির পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সোরেন এসপারসেন ট্রাম্প ইচ্ছা সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই এটি মনে করে থাকেন, তাহলে এটা চূড়ান্ত প্রমাণ যে, তিনি পাগল হয়ে গেছেন।’

গ্রিনল্যান্ড কেনা নিয়ে ট্রাম্পের আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টিভিতেও তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টার রোল পড়েছে। নিউ ইয়র্ক পত্রিকা ট্রাম্পের এই ইচ্ছাকে শিশুসুলভ অভিহিত করে লিখেছে, ট্রাম্প হয়তো জানেন না, দ্বীপটি ডেনমার্ক নামক একটি দেশের অন্তর্গত।