ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কাউফিউর মতোই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেশটির সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখানে জনসাধারণ কোনো আন্দোলন করতে পারবে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

‘নির্দেশিত অভিযান চলাকালে কোনো সমাবেশ কিংবা বৈঠক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। কোথাও যেতে হলে অপরিহার্য সেবা কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে।’

গ্রেটার কাশ্মীরের খবরে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর ছড়ানো বন্ধ রাখতে ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রতিরোধ এটা কাশ্মীরের একটি স্বাভাবিক কৌশল। ল্যান্ডফোনের যোগাযোগও কেটে দেয়া হয়েছে।

সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকের ডাক দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিসহ সাবেক ও বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আঞ্চলিক নেতারা বলছেন, তারা আটক হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

গত শুক্রবার থেকেই কাশ্মীরে উত্তেজনা বাড়ছে। তখন স্থানীয় ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য হামলার সতর্কতা জারি করেন। পাকিস্তান এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।